ওয়ালটন এসির দাম বাংলাদেশ ২০২৫

ওয়ালটন ১.৫ টন এসির মডেল ও দাম ২০২৫

ওয়ালটন এসির দাম বাংলাদেশ ২০২৫ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর 

ওয়ালটন ২ টন এসির মডেল ও দাম ২০২৫

৩ টন ওয়ালটন এসির মডেল ও দাম ২০২৫

ওয়ালটন এসির সুবিধা ও অসুবিধা

ওয়ালটন বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্র্যান্ড। এ ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায় এসি ফ্রিজ টিভি ব্লেন্ডার মেশিন থেকে যাবতীয় ইলেকট্রনিক্স জিনিস পাওয়া যায়। ওয়ালটনের পণ্যগুলো খুবই মানসম্মত এবং কেনার উপযোগী। তবে সকল জিনিসের সুবিধা অসুবিধা দুটি রয়েছে।

 সুবিধা 

1. বাংলাদেশের তৈরি তাই তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। এর সার্ভিস এবং পার্টস গুলো সহজলভ্য। 
2. Walton এসি বিভিন্ন মডেলের রয়েছে এবং টন অনুযায়ী মডেল গুলো পাওয়া যায়। ছোট ঘর থেকে বড় ঘরের জন্য উপযোগী এসি পাওয়া যায়। 
3. Walton এসি গুলো ইনভার্টার প্রযুক্তি যুক্ত যার কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং নির্দ্বিধায় এসি চালানো যায়।  পরিবেশ বান্ধব গ্যাস থাকার কারণে ওজোন স্তর ক্ষতি করে না এবং নিরাপদ। 
4. এর কন্ট্রোল সিস্টেম স্মার্ট অর্থাৎ মডেলে ওয়াইফাই স্মার্ট অ্যাপ ও রিমোট কন্ট্রোল সুবিধা খুবই উন্নত। 
5. ওয়ালটন এসি গুলোর কম্প্রেসারের ৫-১০ বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে। এবং যন্ত্রাংশের ১-২ বছরের ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। 
6. এ ডিজাইনগুলো খুবই উন্নত এবং সাউন্ড কম, নীরব কুলিং ব্যবস্থা প্রদান করে পরিবেশের জন্য বেশ আরামদায়ক।

1. ওয়াল্টন এসে হল ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডের তুলনায় প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে। যেমন স্যামসাং এলজি এগুলোর তুলনায় কিছুটা প্রযুক্তি গত দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে।
2. কিছু ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কুলিং পারফরম্যান্স স্থায়ী নাও হতে পারে, দীর্ঘ ব্যবহারের ফলে কার্যকারিতা একটু কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
3. কিছু কিছু নির্দিষ্ট মডেলের যন্ত্রাংশগুলো স্থানীয় শোরুম কিংবা দোকানে না পাওয়া যেতে পারে, তবে বিভাগীয় জেলাগুলোতে পাওয়া যাবে।
4. কিছু মডেলের খুচরা যন্ত্র গুলোতে ঘাটতি থাকতে পারে যার কারণে স্থানীয় মার্কেটে পাওয়া নাও যেতে পারে। 
5. কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় মেরামতের ক্ষেত্রে দেরি হতে পারে, অর্থাৎ দক্ষ কর্মী ছাড়া ইনস্টলেশন করা একটু কঠিন হয়।

ওয়ালটন এসি কেনার আগে খেয়াল রাখা দরকার 

1. ১০০-১২০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে ১ টন এসি।
2. ১২০-১৮০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে ১.৫ টন এসি।
3. ১৮০-২৫০ স্কয়ার ফিট হয় তাহলে ২ টন এসি। 
4. ২৫০-৩৫০+স্কয়ার ফিট হয় তাহলে ২.৫০-৩ টন এসি। 

• ঘর যত বড় হবে এসির প্রাণ ক্ষমতা তত বেশি প্রয়োজন হবে। 
• কেনার আগে অবশ্যই ইনভার্টার, নন-ইনভার্টার দেখে ক্রয় করতে হবে। Inverter যুক্ত এসির বিদ্যুৎ খরচ কম হয়, যার ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। তবে দাম বেশি কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়।
• নন ইনভার্টার যুক্ত এসি গুলো তুলনামূলক দাম কম inverter যুক্ত এসির চাইতে। বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। 
• কপার কনডেন্সার যুক্ত এসি গুলো ভালো কুলিং বা ঠান্ডা, টেকসই এবং সার্ভিস ভালো দেয়। কিন্তু অ্যালুমিনিয়াম যুক্ত কনডেন্সার গুলো সস্তা কিন্তু টেকসই কম হয়।
• বিদ্যুৎ খরচ ও EER রেটিং দেখে ক্রয় করুন। উচ্চ EER রেটিং মানে বুঝানো হয়েছে বিদ্যুৎ খরচ কম। ওয়ালটন এসি গুলোতে EER ৩.০ বা তার বেশি হলে ভালো হবে। 
• ওয়ারেন্টি এবং ক্রয়ের পর সেলফ সার্ভিস সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে নিন। এর পার্স পার্টস পার্টস্ ও সার্ভিস সহজে পাওয়া যাবে কিনা এই এ সকল বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নেবেন। 
• এসিতে স্মার্ট ফিচার ও স্মার্ট কন্ট্রোল সুবিধা আছে কিনা যাচাই করে নিবেন। 
• ডিসকাউন্ট অফার বা দাম তুলনামূলক কম এ ধরনের শোরুমগুলোতে দেখুন। তবে ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, শোরুম এবং ই-কমার্স এ দাম ক্রয় করার আগে মিলিয়ে দেখুন।
• কিস্তিতে নেওয়ার সুবিধা, ক্যাশব্যাক পদ্ধতি বা ডিসকাউন্ট অফার দেখে নিতে পারেন।
• অনেক জায়গায় ফ্রি হোম ডেলিভারি এবং ইনস্টলেশন সুবিধা দিয়ে থাকে সেগুলো আগেই জেনে নিন। অনেক সময় ইনস্টলেশন চার্জ আলাদা নিয়ে থাকে সে ব্যাপারেও ভালোভাবে জেনে নেবেন।

ওয়ালটন এসির দাম সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর

শেষ মন্তব্যঃ ওয়ালটন এসির দাম বাংলাদেশ ২০২৫