দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন ও কাজের বেতন কত





দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদেশি কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত একটি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন সেটা হচ্ছে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা। 
দক্ষিণ-কোরিয়া-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসাদক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন অনুযায়ী ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা চালু করেছেন বিদেশি নাগরিকদের জন্য যারা দেশের বাইরে কাজ করার ক্ষমতা রাখে। দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। 

সূচিপত্রঃ দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন 

দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন 

দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যেতে চাইলে কিছু নিয়ম নীতি মেনে তারপরে যেতে হবে। কারণ দক্ষিণ কোরিয়া যেহেতু একটি উন্নত এবং অর্থনৈতিক ভাবে খুব উন্নত তাই এদেশে যাওয়ার আগে সর্বপ্রথম ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন কি কি সেগুলো আলোচনা করা যাক। 

দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরনের মধ্যে সর্বপ্রথম E-1-E-7 পর্যন্ত বিশেষ করে কাজের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। E-1-E-7 বলতে বুঝাই 

E-1=প্রফেসর ভিসা 
E-2=ইংরেজি শিক্ষকের জন্য 
E-3=রিসার্চ ভিসা 
E-4=টেকনিক্যাল ইন্সট্রাক্টর 
E-5=প্রফেশনাল জব যেমন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ইত্যাদি 
E-6=আর্ট এবং কালচারাল পারফর্মার
E-7=বিশেষ দক্ষতার কাজের জন্য প্রয়োজনীয়

এছাড়াও রয়েছে, H-2 ভিসা বা ওয়ার্কিং হলিডে এই ভিসা মূলত যারা অস্থায়ীভাবে কাজ করতে চাই দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের জন্য।

E-9 ভিসা, এ ভিসা দক্ষিণ কোরিয়ায় এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম এর আওতাধীন দক্ষ এবং অদক্ষ কর্মীদের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

D-9 ভিসা এটি দক্ষিণ কোরিয়ার এক ধরনের কাজের ভিসা। এ এ ভিসাকে ব্যবসা এবং ট্রেড এর জন্য বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবসার জন্য এই ভিসা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সুবিধা কি কি 

দক্ষিণ কোরিয়া ভিসার সুবিধা অবশ্যই রয়েছে। তবে যেমন সুবিধা রয়েছে এবং নিয়ম নীতিমালাও রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পারমিট ভিসার সুবিধাগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম হচ্ছে এখানে অদক্ষ এবং দক্ষ উভয় কর্মীদের কাজের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও ওভার টাইম কাজ করে অতিরিক্ত আয় করার সুবিধা রয়েছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবস্থা, নির্মাণ, আইটি এবং গবেষণা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত বিস্তারিত জানুন

দক্ষ-অদক্ষদের জন্য কাজের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বীমা এবং পেনশনের আধুনিক সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও কর্মীদের জন্য কম খরচে চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে সেখানে স্থায়ী বাসিন্দার জন্য আবেদন পদ্ধতি রয়েছে। উন্নত জীবনযাত্রার ব্যবস্থা রয়েছে প্রবাসীদের বা ওয়ার্কারদের জন্য। 

সুষ্ঠুভাবে বসবাস, পরিবহনের জন্য সুবিধা এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হয়েছে। এছাড়াও আরেকটি সুবিধা হল ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা। কাজ করার পাশাপাশি ভাষা শিক্ষার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। দেশ কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা অর্জন করে গেলে তার জন্য অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও সেখানে গিয়ে কাজের পাশাপাশি ভাষা শিক্ষার সুবিধা রয়েছে। কারণ সেখানে কাজের মান উন্নত করার ক্ষেত্রে ভাষা শিক্ষা অত্যন্ত জরুরী। 

সেখানে দীর্ঘ সময় থাকার পরে পরিবার-পরিজন নিয়ে যাওয়ার এক ধরনের সুবিধা রয়েছে যা কোন নির্দিষ্ট একটি ভিসার আওতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে। সেখানে সন্তানদের শিক্ষার জন্য সুযোগ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের পর সেখানে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদনের সুযোগ রয়েছে। 

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে খরচ কত 

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে খরচ কত এটি নির্ভর করবে আপনার ভিসার ধরনের উপর। দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার বিভিন্ন ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার খরচ হয়ে থাকে। কোরিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য আবেদন করলে সেই ভিসা অনুযায়ী আপনার খরচ নির্ভর করবে। চলুন কোন ভিসার আনুমানিক খরচ কত নিচে উল্লেখ করা যাবে।

এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম ভিসা খরচঃ দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার মধ্যে EPS একটি ভিসা। বর্তমানে এই ভিসা জনপ্রিয়। কারণ এ ভিসা দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য। এই ভিসার খরচ নির্ভর করে সকল কিছুর উপর যেমন মেডিকেল পরীক্ষা, ভিসা ফি, ট্রেনিং ফি, টিকিট, এজেন্সি বাবদ এবং ইএসপি টপিক পরীক্ষার ফি সব মিলিয়ে আনুমানিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা।
দক্ষিণ-কোরিয়া-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসাএছাড়াও রয়েছে প্রফেশনাল ভিসাঃ এ প্রফেশনাল ভিসার মধ্যে পড়ে E-1-E-7 ভিসা অর্থাৎ প্রফেসর, ইংরেজি শিক্ষকের রিসার্চ ভিসা টেকনিক্যাল ইন্সট্রাক্টর, প্রফেশনাল জব, ডাক্তার অথবা আইনজীবী, আর্ট কালচার, প্রয়োজনে বিশেষ দক্ষতা এ সকল কাজের ভিসাকে বলা হয়। এ প্রফেশনাল ভিসার আনুমানিক খরচ হয়ে থাকে ৩-৪ লক্ষ টাকা। এবং এই খরচ নির্ভর করে ভিসা ফি, ফ্লাইট টিকিট, স্বাস্থ্য, ভেরিফিকেশন অন্যান্য আরো খরচের উপর।

ডিজিটাল নোম্যাড ভিসার খরচঃ ডিজিটাল নোম্যাড ভিসার খরচ অন্যান্য ভিসার তুলনায় তুলনায় বেশি লাগে। নোমান ভিসা বলতে যারা যারা বিদেশি নাগরিক দূরে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয় বিশেষ করে এই ভিসা ফ্রিল্যান্সার, ডিজিটাল মার্কেটর এদের জন্য। সহজ ভাষায় বলতে পারলে যাদের অনলাইনে কোন ব্যবসা আছে এবং বাড়িতে বসে থেকে অন্য কোন কোম্পানির হয়ে কাজ করে দিতে পারবে এ সকলকে ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ ক্রোয়েশিয়া ভিসার দাম কত ও কোন কাজের চাহিদা বেশি

ডিজিটাল নোম্যাড ভিসায় বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চাইলে এর সকল খরচ আনুমানিক ৩-৫  লক্ষ টাকার মত হয়ে থাকে। অন্যান্য বিচার চাইতে এ ভিসার খরচ বেশি। তবে এদের বেতন কাঠামো ভিন্ন অন্যান্য কর্মীদের চাইতে এদের বেতন বেশি হয়। তবে ডিজিটাল নোম্যাড ভিসায় যেতে চাইলে অবশ্যই প্রার্থীকে নির্দিষ্ট একটি বৈধ অনলাইন ব্যবসা থাকতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি দক্ষতা লাগে 

দক্ষিণ কোরিয়া ও পারমিট ভিসায় যাওয়ার জন্য অনেকেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। তবে অনেকের স্বপ্ন দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া এজন্য অনেকেই দেশেই কোরিয়ান ভাষার একটি কোর্স করে সার্টিফিকেট ধারণ করেন। তাই যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাদের কিছু দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। চলুন সেগুলো কি কি আলোচনা করা যাক। 

  • কোন একটি কাজের বা বিভিন্ন কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে। 
  • বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। 
  • এসএসসি সার্টিফিকেট অবশ্যই দিতে হবে। যদি অন্যান্য সার্টিফিকেট থাকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে।
  • কালার টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে ।
  • কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণের সার্টিফিকেট। 
  • কোরিয়ান ভাষা শিক্ষার দক্ষতার সার্টিফিকেট। 

এছাড়াও আবশ্যিক কিছু কাগজপত্র যেগুলো সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেগুলো হলো-

  • ছয় মাস মেয়াদী বৈধ একটি পাসপোর্ট। 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড। 
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। 
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট। 
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেট ।
  • আবেদন ফি জমা দেওয়ার রশিদ।
  • ভিসা আবেদনের ফরম।

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা পাওয়া কি সহজ 

দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা পাওয়া কি সহজ এ ধরনের প্রশ্ন প্রায় শোনা যায়। তাই যারা এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই কার্যকরী হবে। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন। দক্ষিণ কোরিয়া কাজের ভিসা পাওয়া সহজ হবে যদি আপনি উচ্চশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি হয়ে থাকেন। ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় যদি নিজের উল্লেখিত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে পারে।

  • বাংলাদেশে কিংবা দেশের বাইরে যেকোনো জবের বা কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। 
  • যে দেশে যেতে চান সেই দেশের ভাষা শিক্ষার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাই আপনি যদি আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেন এবং ভাষার দক্ষতা থাকে তাহলে তুলনামূলক আপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দের চাইতে ভিসা পাওয়া কিছুটা হলেও সহজ হবে।
  • ভিসা পাওয়ার জন্য সহজ EPS-TOPIK পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে। 
  • পেশাগত কোনো দক্ষতা থাকলে বা শিক্ষাগত সকল যোগ্যতার সনদপত্র থাকলে কাজের ভিসা পাওয়া সহজ হবে।
  • দক্ষিণ কোরিয়ার কোন কোম্পানির কাছে থেকে কাজের অফার লেটার অনুমোদন থাকলে সহজ হবে।
  • কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে কাজের ভিসা পাওয়ার সহজ হবে। 
  • পেশাগত কোন দক্ষতা থাকলে যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষাবিদ ইত্যাদি থাকলে। 
  • দক্ষিণ কোরিয়ায় আপনার কোন পরিচিত ভালো বিজনেসম্যান অথবা রিলেটিভ থাকলে। 
  • এছাড়া অন্য কোন দেশের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে পারমিট পাওয়ার সহজ হবে। 
  • কোরিয়ান ভাষা ছাড়া অন্যান্য আরো ভাষার অভিজ্ঞতা থাকলে বিশেষ করে ইংরেজি ভাষার অভিজ্ঞতা থাকলে কাজের ভিসা পাওয়া কিছুটা সহজ হবে।
  • ইলেকট্রনিক্সের কাজের অভিজ্ঞতার সনদ থাকলে কাজের ভিসা পাওয়া যাবে। 
  • এছাড়াও যদি আপনি ভাল এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন বিশ্বস্ত কোন এজেন্সি তাহলে খুব সহজে আপনি কাজের ভিসা পেতে পারেন। 

দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বেতন কত 

দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বেতন সাধারণত দক্ষতার উপর নির্ভর করে থাকে। যদি আপনি খুব ভালো অভিজ্ঞ কোন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অথবা ফ্রিল্যান্সার এবং ভালো কোন পেশাজীবী হয়ে থাকেন তাহলে বেতন তুলনামূলক বেশি হয়। অভিজ্ঞতায় ছাড়া যারা কোরিয়া গিয়ে থাকেন তাদের বেতন ১ লক্ষ ৫০ হাজার হয়ে থাকে।
দক্ষিণ-কোরিয়া-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসা

আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ কত

এছাড়াও আরো রয়েছে কাজের ফাঁকে ওভারটাইম করতে পারলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার পর নিয়োগকর্তার সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বেতন অনেক সময় বেশি। ২০২৪ সালে প্রায় বাংলাদেশ থেকে ২৮-২৯ জন কর্মী মাসিক বেতন ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বনিম্ন বেতন কত 

দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বনিম্ন বেতন কত এ সম্পর্কে জানা জরুরী। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রায় ওন এর মান উঠানামা করে। ফলে মাঝেমধ্যে বাংলাদেশী টাকায় কম বেশি হয়। তবে ২০২৫ সালে কোরিয়াতে যারা কাজের জন্য গিয়েছেন ঘন্টার ভিত্তিতে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন বেতন প্রতি ঘন্টায় বাংলাদেশি টাকায় ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। দক্ষিণ কোরিয়া সর্বনিম্ন বেতন আনুমানিক হিসাব করলে ১৫০০০০-১৭০০০০ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার নিয়ম 

বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার নিয়ম ও কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ভিসার ধরন নির্ধারণ করতে হবে। ভিসা ধরনের নির্ধারণ করার পরে আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়া আরম্ভ করতে হবে। ভিসার ধরন বলতে আমরা বুঝি কোন ধরনের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান। যেমন 

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 
  • স্টুডেন্ট ভিসা 
  • বিজনেস ভিসা 
  • পর্যটন ভিসা 
  • ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা ইত্যাদি 
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে হবে। 
  • কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 
  • আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। 
  • দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 
  • ভিসা পাওয়ার পর বিমান টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এবং যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। 
  • সরকারি ভাবে আবেদন করার চেষ্টা করবেন। 
  • প্রতারক দালালদের এড়িয়ে চলবেন। 
  • সঠিক তথ্যের জন্য কোরিয়ান দূতাবাস BMET এই অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

ঠিকানাঃ House #4, Road #102, Gulshan-2, Dhaka-1212, Bangladesh.

ওয়েবসাইটঃ South Korean Embassy in Dhaka

শেষকথাঃ দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন 

দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন সম্পর্কে যাদের জানার প্রয়োজন আছে তারা আজকের উপরোক্ত সকল তথ্য ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তাই যারা দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই গ্রহণযোগ্য হবে।

এশিয়া মহাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক ক্ষমতা সম্পন্ন উন্নয়নশীল দেশ দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা উপরোক্ত সকল তথ্য অনুযায়ী আপনাদের ভিসার ধরন নির্ধারণ করে যেতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url